4 অতএব, আমার ভাইবোনেরা, তোমরাও খ্রীষ্টের শরীরের মাধ্যমে বিধানের কাছে মৃত্যুবরণ করেছ, যেন তোমরা অন্যের হও, যাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করা হয়েছিল, যেন আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে ফল উৎপন্ন করতে পারি। 5 কারণ, যখন আমরা পাপ-প্রকৃতি[b] দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতাম, তখন আমাদের শরীরে পাপপূর্ণ বাসনাগুলি বিধানের মাধ্যমে জাগৃত হয়ে সক্রিয় হত, যেন আমরা মৃত্যুর উদ্দেশে ফল উৎপন্ন করি। 6 কিন্তু এক সময় যে বিধান আমাদের আবদ্ধ করে রেখেছিল, এখন তার প্রতি মৃত্যুবরণ করার ফলে আমরা বিধানের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়েছি, যেন আমরা লিখিত বিধানের পুরোনো পদ্ধতিতে নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার নতুন পথে ঈশ্বরের দাসত্ব করি।
13 তাহলে, যা কল্যাণকর, তাই কি আমার পক্ষে মৃত্যুজনক হয়ে উঠল? কোনোভাবেই নয়! কিন্তু পাপকে যেন পাপরূপেই চিনতে পারা যায়, তাই যা কল্যাণকর ছিল তারই মধ্য দিয়ে পাপ আমার মধ্যে মৃত্যু নিয়ে এল, যেন আজ্ঞার মাধ্যমে সেই পাপ চরম পাপময় হয়ে ওঠে।
14 আমরা জানি যে বিধান আত্মিক, কিন্তু আমি অনাত্মিক, পাপের কাছে ক্রীতদাসরূপে বিক্রীত। 15 আমি যা করি, তা আমি বুঝি না, কারণ আমি যা করতে চাই, তা আমি করি না, কিন্তু যা আমি ঘৃণা করি, আমি তাই করি। 16 আবার আমি যা করতে চাই না, যদি তাই করি, তাহলে আমি মেনে নিই যে বিধান উৎকৃষ্ট। 17 তাই যদি হয়, আমি আর নিজে থেকে এ কাজ করি না, কিন্তু আমার মধ্যে যে পাপ বাস করে তাই করে। 18 আমি জানি যে আমার মধ্যে, অর্থাৎ আমার পাপময় প্রকৃতির মধ্যে ভালো কিছুই বাস করে না। কারণ যা কিছু কল্যাণকর, তা করার ইচ্ছা আমার আছে, কিন্তু আমি তা করে উঠতে পারি না। 19 কারণ আমি যা করতে চাই, সেই ভালো কাজ আমি করি না, কিন্তু যে দুষ্কর্ম আমি করতে চাই না, তা ক্রমাগত করেই যাই। 20 এখন, যা আমি করতে চাই না তা যদি আমি করি, সে কাজটি আর আমি নিজে করি না, কিন্তু আমার মধ্যে বাস করা পাপ-ই তা করে।
21 তাই আমি এই নিয়ম সক্রিয় দেখতে পাচ্ছি: যখন আমি সৎকর্ম করতে চাই, তখনই মন্দ আমার সঙ্গী হয়। 22 কারণ আমার আন্তরিক সত্তায় আমি ঈশ্বরের বিধানে আনন্দ করি, 23 কিন্তু আমার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অন্য এক বিধান কার্যকরী দেখতে পাই; তা আমার মনের বিধানের সঙ্গে সংগ্রাম করে চলে এবং পাপের যে বিধান আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে, আমাকে তার বন্দি করে রাখে। 24 কী দুর্ভাগ্যপূর্ণ মানুষ আমি! মৃত্যুর এই শরীর থেকে কে আমাকে উদ্ধার করবে? 25 আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই।