Link to home pageLanguagesLink to all Bible versions on this site
23
নীতিবচন 7
1 যখন তুমি কোনও শাসকের সঙ্গে খাবার খেতে বসবে,
তখন ভালো করে লক্ষ্য কোরো তোমার সামনে কী রাখা আছে,[a]
2 ও যদি তোমার ভোজনবিলাসিতার বদভ্যাস থাকে
তবে তুমি গলায় ছুরি বেঁধে রেখো।
3 তাঁর সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না,
কারণ সেই খাদ্য বিভ্রান্তিকর।
নীতিবচন 8
4 ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য নিজেকে অবসন্ন করে তুলো না;
নিজের চালাকির উপরে ভরসা কোরো না।
5 ধনসম্পত্তির দিকে শুধু এক পলক দেখো, আর তা অদৃশ্য হয়ে যাবে,
কারণ ঈগল পাখির মতো নিশ্চয় তার ডানা গজাবে
ও তা আকাশে উড়ে যাবে।
নীতিবচন 9
6 কোনও রুষ্টমনা নিমন্ত্রণকর্তার দেওয়া খাদ্য খেয়ো না,
তার সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না;
7 কারণ সে এমন এক ধরনের লোক
যে সবসময় অর্থব্যয়ের কথা ভাবে।[b]
সে তোমাকে বলবে “ভোজনপান করো,”
কিন্তু সে তোমার প্রতি আন্তরিক নয়।
8 তুমি অল্প যেটুকু খেয়েছ তা বমি করে ফেলবে
ও তোমার সাধুবাদ অপচয় করে ফেলবে।
নীতিবচন 10
9 মূর্খদের কাছে কথা বোলো না,
কারণ তারা তোমার বিচক্ষণ কথাবার্তা অবজ্ঞা করবে।
নীতিবচন 11
10 সীমানার প্রাচীন পাথরটি স্থানান্তরিত কোরো না
বা পিতৃহীনদের জমি বলপূর্বক দখল কোরো না,
11 কারণ তাদের রক্ষক বলবান;
তাদের হয়ে তিনি তোমার বিরুদ্ধে মামলা লড়বেন।
নীতিবচন 12
12 শিক্ষার প্রতি আন্তরিক মনোনিবেশ করো
ও জ্ঞানের কথায় কর্ণপাত করো।
নীতিবচন 13
13 শিশুকে শাসন করতে পিছপা হোয়ো না;
তুমি যদি তাদের লাঠি দিয়ে মেরে শাস্তি দাও, তবে তারা মারা যাবে না।
14 লাঠি দিয়ে মেরে তাদের শাস্তি দাও
ও মৃত্যুর হাত থেকে তাদের রক্ষা করো।
নীতিবচন 14
15 হে আমার বাছা, তোমার অন্তর যদি জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয়,
তবে সত্যিই আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত হব;
16 ঠোঁট দিয়ে তুমি যখন যা সঠিক তা বলবে
তখন আমার হৃদয় উল্লসিত হবে।
নীতিবচন 15
17 তোমার হৃদয় যেন পাপীদের হিংসা না করে,
কিন্তু সবর্দা তুমি সদাপ্রভুকে ভয় করার জন্য তৎপর থেকো।
18 নিশ্চয় তোমার জন্য ভবিষ্যতের এক আশা আছে,
ও তোমার আশা বিচ্ছিন্ন করা হবে না।
নীতিবচন 16
19 হে আমার বাছা, তুমি শোনো ও জ্ঞানবান হও,
ও ন্যায়পথে তোমার অন্তর স্থির রাখো:
20 যারা সুরা পান করে বা গাণ্ডেপিণ্ডে খাওয়াদাওয়া করে
তাদের সঙ্গী হোয়ো না,
21 কারণ মদ্যপ ও পেটুকেরা দরিদ্র হয়ে যায়,
ও তন্দ্রাচ্ছন্নভাব তাদের ছেঁড়া জামাকাপড় পরিয়ে ছাড়ে।
নীতিবচন 17
22 তোমার সেই বাবার কথা শোনো, যিনি তোমাকে জীবন দিয়েছেন,
ও তোমার মায়ের বৃদ্ধাবস্থায় তাঁকে হেয় জ্ঞান কোরো না।
23 সত্য কিনে নাও ও তা বিক্রি কোরো না—
প্রজ্ঞা, শিক্ষা ও দূরদর্শিতাও কিনে নাও।
24 ধার্মিক সন্তানের বাবা খুব আনন্দ পান;
জ্ঞানবান ছেলের জন্মদাতা তাকে নিয়ে আনন্দ করেন।
25 তোমার বাবা ও মা আনন্দ করুন;
যিনি তোমাকে জন্ম দিয়েছেন তিনি উল্লসিতা হোন!
নীতিবচন 18
26 হে আমার বাছা, তোমার অন্তর আমাকে দিয়ে দাও
ও তোমার চোখদুটি আমার পথে আহ্লাদিত হোক,
27 কারণ ব্যভিচারিণী মহিলা এক গভীর খাত,
ও স্বৈরিণী স্ত্রী এক অগভীর কুয়ো।
28 দস্যুর মতো সে ওৎ পেতে থাকে
ও পুরুষদের মধ্যে সে বিশ্বাসঘাতকতা বৃদ্ধি করে।
নীতিবচন 19
29 কে দুর্দশাগ্রস্ত? কে দুঃখিত?
কে বিবাদ করে? কে অভিযোগ জানায়?
কে অকারণে ক্ষতবিক্ষত হয়? কার চোখ রক্তরাঙা হয়?
30 তারাই, যারা সুরাপানে আসক্ত,
যারা মিশ্রিত সুরা ভর্তি বাটির দিকে যায়।
31 তুমি সুরার দিকে তখন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকো না যখন তার রং লাল থাকে,
যখন তা পানপাত্রের মধ্যে ঝকঝক করে,
যখন তা সহজেই গলায় নেমে যায়!
32 শেষে তা সাপের মতো দংশন করে
ও বিষধর সাপের মতো বিষ উগরে দেয়।
33 তোমার চোখদুটি অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখবে,
ও তোমার মন বিভ্রান্তিকর সব বিষয় কল্পনা করবে।
34 তুমি এমন একজনের মতো হয়ে যাবে যে উঁচু সমুদ্রের উপরে ঘুমিয়ে আছে,
জাহাজের মাস্তুলের চূড়ায় শুয়ে আছে।
35 “ওরা আমাকে মেরেছে,” তুমি বলবে, “কিন্তু আমি ব্যথা পাইনি!
ওরা আমায় মারধর করেছে, কিন্তু আমি তা অনুভব করিনি!
আমি কখন জেগে উঠব
যেন আরও একটু পান করতে পারি?”

<- হিতোপদেশ 22হিতোপদেশ 24 ->