2
নীনবীর পতন
1 হে নীনবী, তোমার বিরুদ্ধে এক আক্রমণকারী এগিয়ে আসছে।
দুর্গ পাহারা দাও,
পথে নজরদারি চালাও,
কোমর বাঁধো,
তোমার সব শক্তি একত্রিত করো।
2 ইস্রায়েলের সমারোহের মতো
সদাপ্রভু যাকোবের সমারোহও ফিরিয়ে আনবেন,
যদিও বিনাশকারীরা তাদের ধ্বংস করেছে
এবং তাদের দ্রাক্ষালতাগুলি নষ্ট করে দিয়েছে।
3 সৈনিকদের ঢালগুলির রং লাল;
যোদ্ধারা টকটকে লাল রংয়ের পোশাকে সুসজ্জিত।
রথ সাজিয়ে তোলার দিনে
রথের ধাতু চকচক করে উঠেছে;
দেবদারু কাঠে তৈরি বর্শাগুলি আস্ফালিত হয়েছে।*অথবা, অশ্বারোহীরা এদিক-ওদিক ছুটে বেড়িয়েছে
4 রথগুলি জোর কদমে রাস্তায় ছুটে বেড়ায়,
চকের এদিক-ওদিক তীব্র গতিতে এগিয়ে যায়।
সেগুলি দেখে মনে হয় সেগুলি বুঝি জ্বলন্ত মশাল;
সেগুলি বজ্রের মতো আছড়ে পড়ে।
5 নীনবী তার শ্রেষ্ঠ সৈন্যদলকে তলব করল,
তাও তারা পথে হোঁচট খেলো।
তারা নগর-প্রাচীরে ধাক্কা খেলো;
প্রতিরক্ষামূলক ঢাল স্বস্থানে রাখা হল।
6 নদীমুখ খুলে গেল
এবং রাজপ্রাসাদের পতন হল।
7 হুকুম দেওয়া হল যে নীনবী
নির্বাসিত ও দূরে নীত হবে।
তার দাসীরা ঘুঘুর মতো বিলাপ করবে
ও বুক চাপড়াবে।
8 নীনবী এমন এক পুকুরের মতো
যার জল শুকিয়ে যাচ্ছে।
“দাঁড়াও! দাড়াও!” তারা চিৎকার করে,
কিন্তু কেউই পিছু ফেরে না।
9 রুপো লুট করো!
সোনা লুট করো!
সরবরাহ অসীম!
তার সব কোষাগারের ধনসম্পদ প্রাচুর্যময়!
10 সে লুন্ঠিত, অপহৃত, নগ্ন হয়েছে!
তার হৃদয় গলে গিয়েছে, হাঁটু ঠকঠক করেছে,
শরীর কেঁপে উঠেছে, প্রত্যেকের মুখ ম্লান হয়ে গিয়েছে।
11 এখন কোথায় সিংহদের সেই গুহা,
সেই স্থান যেখানে তারা যুবসিংহদের খাওয়াতো,
যেখানে সিংহ ও সিংহী চলে যেত,
ও শাবকেরা নির্ভয়ে বসবাস করত?
12 সিংহ তার শাবকদের জন্য পর্যাপ্ত পশু হত্যা করত
ও তার সঙ্গিনীর জন্য শিকার করা পশুদের শ্বাসরোধ করত,
তার ডেরাগুলি নিহত পশুদের দিয়ে
ও গুহাগুলি শিকার করা পশু দিয়ে পরিপূর্ণ করে রাখত।
13 “আমি তোমার বিপক্ষ,”
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু ঘোষণা করছেন।
“আমি তোমার রথগুলি পুড়িয়ে ধোঁয়ায় পরিণত করব,
ও তরোয়াল তোমার যুবসিংহদের গ্রাস করবে।
পৃথিবীতে আমি তোমার জন্য কোনও শিকার ছেড়ে রাখব না।
তোমার দূতদের রব