4 এরপর যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “বিশ্রামদিনে কী করা ন্যায়সংগত, ভালো কাজ করা, না মন্দ কাজ করা; জীবন রক্ষা করা, না হত্যা করা?” কিন্তু তারা নীরব হয়ে রইল।
5 যীশু ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাদের সকলের দিকে তাকালেন এবং তাদের হৃদয়ের তীব্র কাঠিন্যের[a] জন্য তিনি গভীর বেদনায় লোকটিকে বললেন, “তোমার হাত বাড়িয়ে দাও।” লোকটি হাত বাড়িয়ে দিল, সঙ্গে সঙ্গে তার হাত আগের মতো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল। 6 এরপর ফরিশীরা বেরিয়ে গেল এবং হেরোদীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করল যে, কীভাবে যীশুকে হত্যা করা যায়।
22 আর জেরুশালেম থেকে যেসব শাস্ত্রবিদ এসেছিল, তারা বলল, “ওর উপর বেলসবুল ভর করেছে। ভূতদের অধিপতির সাহায্যেই ও ভূতদের দূর করছে।”
23 যীশু তখন তাদের ডাকলেন ও রূপকের আশ্রয়ে তাদের বললেন, “শয়তান কীভাবে শয়তানকে দূর করতে পারে? 24 কোনো রাজ্য যদি নিজের বিপক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে সেই রাজ্য টিকে থাকতে পারে না। 25 আবার একটি পরিবার যদি নিজেরই বিরোধিতা করে, তাহলে সেই পরিবারও টিকে থাকতে পারে না। 26 এভাবে শয়তান যদি নিজেরই বিরুদ্ধে যায় ও বিভক্ত হয়, তাহলে সেও আর টিকে থাকতে পারে না। অর্থাৎ তার সমাপ্তি সন্নিকট। 27 বস্তুত, শক্তিশালী ব্যক্তির ধনসম্পত্তি লুট করতে হলে, প্রথমেই তাকে বেঁধে ফেলতে হয়, তা না হলে তার ঘরে ঢুকে তার সম্পত্তি লুট করা অসম্ভব। 28 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, মানুষের সব পাপ ও ঈশ্বরনিন্দা ক্ষমা করা হবে, 29 কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দা যে করবে, তাকে কোনো কালেই ক্ষমা করা হবে না, বরং সে হবে অনন্ত পাপের অপরাধী।”
30 তাঁর একথা বলার কারণ হল, শাস্ত্রবিদরা বলেছিল, “ওর মধ্যে মন্দ-আত্মা ভর করেছে।”
31 তখন যীশুর মা ও ভাইয়েরা সেখানে এসে পৌঁছালেন। তাঁরা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে যীশুকে ডেকে আনার জন্য একজনকে ভিতরে পাঠালেন। 32 সেই সময় যীশুর চারপাশে বহু মানুষ ভিড় করে বসেছিল। তারা তাঁকে বলল, “আপনার মা ও ভাইয়েরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনার খোঁজ করছেন।”
33 তিনি প্রশ্ন করলেন, “কে আমার মা? আর আমার ভাইয়েরাই বা কারা?”
34 তারপর, যারা তাঁর চারপাশে গোল করে বসেছিল, তাদের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, “এরাই হল আমার মা ও ভাইয়েরা! 35 কারণ যে কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সেই আমার ভাই ও বোন এবং মা।”
<- মার্ক 2মার্ক 4 ->- a বিশ্রামদিনে একজন পঙ্গুকে সারিয়ে তোলা যে ভালো, বা নিয়মসংগত কাজ, সেই সত্যকে কঠিন হৃদয়ের ফরিশীরা মানতে পারেনি।
- b এখানে ব্যবহৃত মূল গ্রিক শব্দটির অর্থ, অশুচি।
- c প্রভু যীশু তাঁর এই বারোজন শিষ্যের হাতে তাঁর ঐশ-রাজ্য এবং মণ্ডলীর প্রচার ও প্রসারের দায়িত্বভার অর্পণ করেছিলেন। তাঁর কাছ থেকেই এই বারোজন প্রেরিতশিষ্য খ্রীষ্টীয় জীবন ও খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করেছিলেন। যীশু চেয়েছিলেন যে, এরা একদিন তাঁর প্রেরিত দূত হিসেবে তাঁর জীবন, কাজ, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের সাক্ষী হয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের বাণী প্রচার করবেন।