6 পরে যিহোশূয় তাদের আশীর্বাদ করলেন ও তাদের বিদায় দিলেন, ও তারা তাদের ঘরে ফিরে গেল। 7 (মনঃশির অর্ধ বংশকে মোশি বাশন দেশে জমি দিয়েছিলেন ও তাদের অপর অর্ধ বংশকে যিহোশূয় জর্ডন নদীর পশ্চিমদিকে তাদের ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন) যখন যিহোশূয় তাদের ঘরে ফেরত পাঠালেন, তিনি তাদের আশীর্বাদ করলেন। 8 তিনি তাদের বললেন, “তোমরা প্রচুর সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যাও—গৃহপালিত পশুর বড়ো বড়ো পাল, রুপো, সোনা, ব্রোঞ্জ ও লোহা এবং প্রচুর পরিমাণে পরিধেয় পোশাক নিয়ে যাও—ও তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছ থেকে যে সমস্ত জিনিসপত্র লুট করেছ, তা তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ো।”
9 তাই রূবেণ ও গাদ গোষ্ঠী এবং মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠী কনানের শীলোতে ইস্রায়েলীদের ছেড়ে গিলিয়দে, তাদের স্বদেশে ফিরে গেল। এই স্থানটি তারা মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে লাভ করেছিল।
10 তারা যখন কনান দেশের জর্ডন নদীর কাছে গলিলোতে উপস্থিত হল, তখন রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা জর্ডন নদীতীরে এক জমকালো বেদি তৈরি করল। 11 ইস্রায়েলীরা যখন শুনতে পেল যে, তারা কনানের সীমায়, ইস্রায়েলের অংশে, জর্ডন নদীর কাছে গলিলোতে সেই বেদি তৈরি করেছে, 12 তখন ইস্রায়েলের সমস্ত মণ্ডলী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শীলোতে একত্রিত হল।
13 এই কারণে ইস্রায়েলীরা যাজক ইলিয়াসরের ছেলে পীনহসকে গিলিয়দে, রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর কাছে পাঠাল। 14 তাঁর সঙ্গে তারা ইস্রায়েলের প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে এক একজন করে দশজন প্রধান ব্যক্তিকে পাঠাল, যারা ইস্রায়েলী গোত্রগুলির নিজের নিজের বংশের মধ্যে প্রধান ছিলেন।
15 যখন তাঁরা রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর কাছে গিলিয়দে পৌঁছালেন, তাঁরা তাদের বললেন: 16 “সদাপ্রভুর সমস্ত মণ্ডলী একথা বলছে: ‘আপনারা কীভাবে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সঙ্গে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করলেন? কীভাবে আপনারা সদাপ্রভু থেকে বিমুখ হয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের বিরুদ্ধাচরণ করে নিজেদের জন্য একটি বেদি নির্মাণ করেছেন? 17 পিয়োরে করা পাপই কি আমাদের শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়? আজ পর্যন্ত আমরা সেই পাপ থেকে নিজেদের শুচিশুদ্ধ করতে পারিনি, যদিও সদাপ্রভুর সমাজে এক মহামারি নেমে এসেছিল! 18 আর এখন আপনারাও কি সদাপ্রভুর কাছ থেকে ফিরে যাচ্ছেন?
21 তখন রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা ইস্রায়েলী গোত্রগুলির প্রধানদের উত্তর দিল: 22 “সদাপ্রভু ঈশ্বর পরাক্রমী! সদাপ্রভু ঈশ্বর পরাক্রমী! তিনি জানেন! আর ইস্রায়েলও তা জানুক! এ যদি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা অবাধ্যতা হয়, তবে আজ আপনারা আমাদের নিষ্কৃতি দেবেন না। 23 যদি আমরা নিজেদের নির্মিত বেদি সদাপ্রভু থেকে সরে যাওয়ার জন্য ও তার উপরে হোমবলি বা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য কিংবা মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করার জন্য নির্মাণ করে থাকি, তবে সদাপ্রভু স্বয়ং আমাদের তার প্রতিফল দিন।
24 “না! আমরা ভয়ে এই কাজ করেছি, কারণ কোনোদিন হয়তো আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের বলবে, ‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সঙ্গে তোমাদের কী সম্পর্ক? 25 সদাপ্রভু তোমাদের, অর্থাৎ রূবেণীয় ও গাদীয়দের এবং আমাদের মধ্যে জর্ডন নদীকে সীমানারূপে রেখেছেন! সদাপ্রভুর উপরে তোমাদের কোনও অধিকার নেই।’ তাই আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের সদাপ্রভুকে ভয় করতে বাধা দিতে পারে।
26 “সেই কারণে আমরা বললাম, ‘এসো, আমরা তৈরি হই ও একটি বেদি নির্মাণ করি—কিন্তু তার উপরে হোমবলি বা অন্যান্য বলি উৎসর্গ করার জন্য নয়।’ 27 উল্টে, এটি বরং আপনাদের ও আমাদের ও পরবর্তী প্রজন্মপরম্পরার মধ্যে সাক্ষীস্বরূপ হবে, যেন আমরা তাঁর ধর্মধামে হোমবলি, অন্যান্য বলি ও মঙ্গলার্থক বলি নিয়ে সদাপ্রভুর আরাধনা করতে পারি। তবে ভাবীকালে আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের বলতে পারবে না যে, ‘সদাপ্রভুর উপরে তোমাদের কোনও অধিকার নেই।’
28 “আমরা আরও বললাম, ‘তারা যদি কখনও একথা আমাদের কিংবা আমাদের বংশধরদের কাছে বলে, আমরা উত্তর দেব: সদাপ্রভুর বেদির ওই ক্ষুদ্র সংস্করণ দেখো। এটি আমাদের পিতৃপুরুষেরা নির্মাণ করেছিলেন, হোমবলি বা অন্যান্য বলি উৎসর্গের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক সাক্ষী হওয়ার জন্য।’
29 “সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যে আমরা বিদ্রোহ করি, তাঁর কাছ থেকে বিমুখ হয়ে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনে স্থিত বেদি ছাড়া, আমরা হোমবলি, শস্য-নৈবেদ্য ও অন্যান্য বলি উৎসর্গের জন্য যে অন্য বেদি নির্মাণ করি, তা আমাদের থেকে দূরে থাকুক।”
30 যখন যাজক পীনহস ও সমাজের নেতৃবৃন্দ—ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠীপতিরা—রূবেণ, গাদ ও মনঃশি গোষ্ঠীর বক্তব্য শুনলেন, তাঁরা সন্তুষ্ট হলেন। 31 আর ইলিয়াসরের ছেলে যাজক পীনহস, রূবেণ, গাদ ও মনঃশি গোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “আজ আমরা বুঝতে পারলাম যে, সদাপ্রভু আমাদের সঙ্গে আছেন, কারণ এই ব্যাপারে আপনারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ততার কাজ করেননি। এখন সদাপ্রভুর হাত থেকে আপনারা ইস্রায়েলীদের উদ্ধার করলেন।”
32 পরে ইলিয়াসরের ছেলে যাজক পীনহস ও ইস্রায়েলী নেতারা গিলিয়দে রূবেণীয় ও গাদীয়দের সঙ্গে সভা সেরে কনানে ফিরে গেলেন ও ইস্রায়েলীদের কাছে সেই সংবাদ দিলেন। 33 তারা সেই সংবাদ শুনে আনন্দিত হল ও ঈশ্বরের প্রশংসা করল। রূবেণীয়েরা ও গাদীয়েরা যেখানে থাকে, তারা সেই দেশে গিয়ে আর তাদের ধ্বংস করার কথা বলল না।
34 আর রূবেণীয়েরা ও গাদীয়েরা সেই বেদির নাম দিল এদ,[a] কারণ তারা বলল, “তাদের ও আমাদের মধ্যে এই বেদি সাক্ষী যে—সদাপ্রভুই ঈশ্বর।”
<- যিহোশূয় 21যিহোশূয় 23 ->- a কোনো কোনো পুঁথিতে এদ শব্দটি পাওয়া যায় না।