2 “যিনি আমাকে ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন, সেই জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি,

3 যতদিন আমার শরীরে প্রাণ আছে,

4 ততদিন আমার ঠোঁট খারাপ কোনও কথা বলবে না,

5 আমি কখনোই স্বীকার করব না যে তোমরা নির্ভুল;

6 আমি আমার সরলতা বজায় রাখব ও কখনোই তা ত্যাগ করব না;

7 “আমার শত্রু দুষ্টের মতো হোক,

8 যেহেতু অনীশ্বররা যখন বিচ্ছিন্ন হয়,

9 ঈশ্বর কি তখন তাদের আর্তনাদ শোনেন

10 তারা কি সর্বশক্তিমানে আনন্দ খুঁজে পাবে?

11 “ঈশ্বরের পরাক্রমের বিষয়ে আমি তোমাদের শিক্ষা দেব;

12 তোমরা নিজেরাই তো তা দেখেছ।

13 “ঈশ্বর দুষ্টদের এই পরিণতিই বরাদ্দ করে দিয়েছেন,

14 তাদের সন্তানদের সংখ্যা যতই বেশি হোক না কেন, তাদের পরিণতি তরোয়ালই[a];

15 যারা বেঁচে থাকবে মহামারি তাদের কবর দেবে,

16 যদিও সে ধুলোর মতো করে গাদা গাদা রুপো

17 তবুও সে যা জমাবে ধার্মিকেরা তা গায়ে দেবে,

18 যে বাড়ি সে তৈরি করে তা পতঙ্গের গুটির মতো,

19 সে ধনবান অবস্থায় শুতে যায়, কিন্তু আর কখনও সে এরকম করতে পারবে না;

20 আতঙ্ক বন্যার মতো তার নাগাল ধরে ফেলে;

21 পূর্বীয় বাতাস তাকে তুলে নিয়ে যায়, ও সে সর্বস্বান্ত হয়;

22 সে যত সেই বাতাসের প্রকোপ থেকে পালায়

23 সেই বাতাস উপহাসভরে হাততালি দেয়