4 কারণ একবার যারা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে—যারা স্বর্গীয় বিষয়ের রস আস্বাদন করেছে, যারা পবিত্র আত্মার অংশীদার হয়েছে, 5 যারা ঈশ্বরের বাক্যের মাধুর্য উপলব্ধি করেছে ও সন্নিকট যুগের পরাক্রম আস্বাদন করেছে— 6 তারা যদি ঈশ্বর থেকে দূরে চলে যায় তাহলে তাদের আবার মন পরিবর্তন ঘটানো অসম্ভব। কারণ ঈশ্বরের পুত্রকে প্রত্যাখ্যান করে তারা আবার তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করছে এবং প্রকাশ্যে তাঁর মর্যাদাহানি করছে। 7 যে জমি বৃষ্টির জল শুষে নেয় ও উপযোগী ফসল উৎপন্ন করে, তা ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে। 8 কিন্তু যে জমি কাঁটাঝোপ ও আগাছা উৎপন্ন করে, তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়। চাষি সেই জমিকে অভিশাপ দেয় ও তা পুড়িয়ে দেয়।
9 প্রিয় বন্ধুরা, আমরা এসব কথা বললেও আমরা বিশ্বাস করি না যে এইসব বিষয় তোমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা নিশ্চিত যে তোমরা এর থেকে উৎকৃষ্ট বিষয়ের সহযোগী যা পরিত্রাণের মাধ্যমে আসে। 10 কারণ ঈশ্বর অবিচার করেন না; অতীতে তোমরা তাঁর ভক্তদাসদের প্রতি যে সাহায্য করেছ এবং এখনও করে যাচ্ছ এবং তাঁর প্রতি যে ভালোবাসার নিদর্শন দেখিয়েছ, ঈশ্বর তোমাদের সেসব কাজ ভুলে যাবেন না। 11 আমরা চাই, তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সমান আগ্রহ বজায় রাখো। 12 আমরা চাই না, তোমরা শিথিল হও, বরং বিশ্বাস ও ধৈর্যের দ্বারা যারা প্রতিশ্রুতির অধিকারী, তাদেরই অনুসরণ করো।
16 আর মানুষ নিজের চেয়েও মহত্তর কারও নামে শপথ করে। আবার যা বলা হয়েছে শপথ তার নিশ্চয়তা দেয় ও সব যুক্তিতর্কের অবসান ঘটায়। 17 কারণ ঈশ্বর তাঁর অপরিবর্তনীয় ইচ্ছাকে প্রতিশ্রুতির উত্তরাধিকারীদের কাছে স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বলে, তিনি শপথের দ্বারা তা সুনিশ্চিত করলেন। 18 ঈশ্বর আমাদের প্রতিশ্রুতি ও শপথ দুই-ই দিয়েছেন। এই দুটি বিষয় অপরিবর্তনীয় কারণ ঈশ্বরের পক্ষে মিথ্যা কথা বলা অসম্ভব। তাই, আমাদের সামনের প্রত্যাশা আঁকড়ে ধরে আমরা শরণ নেওয়ার জন্য তাঁর দিকে ছুটে গিয়েছি যেন আমরা দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই। 19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে যা প্রাণের নোঙরের মতো, সুদৃঢ় ও নিশ্চিত। তা পর্দার অন্তরালে থাকা মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, 20 যেখানে আমাদের অগ্রগামী যীশু আমাদের পক্ষে প্রবেশ করেছেন। মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুসারে তিনি চিরকালের জন্য মহাযাজক হয়েছেন।
<- ইব্রীয় 5ইব্রীয় 7 ->