1 অব্রামের স্ত্রী সারী, তাঁর জন্য কোনও সন্তানের জন্ম দেননি। কিন্তু সারীর এক মিশরীয় ক্রীতদাসী ছিল, যার নাম হাগার; 2 তাই সারী অব্রামকে বললেন, “সদাপ্রভু আমাকে নিঃসন্তান করে রেখেছেন। যাও, আমার ক্রীতদাসীর সঙ্গে গিয়ে শোও; হয়তো তার মাধ্যমে আমি এক পরিবার গড়ে তুলতে পারব।”
সারীর কথায় অব্রাম সম্মত হলেন। 3 অতএব অব্রাম কনানে দশ বছর বসবাস করার পর, তাঁর স্ত্রী সারী মিশরীয় ক্রীতদাসী হাগারকে নিয়ে তাকে নিজের স্বামীর স্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর হাতে তুলে দিলেন। 4 অব্রাম হাগারের সঙ্গে সহবাস করলেন, এবং সে গর্ভবতী হল।
হাগার যখন জানতে পারল যে সে গর্ভবতী হয়েছে, তখন সে তার মালকিনকে অবজ্ঞা করতে লাগল। 5 তখন সারী অব্রামকে বললেন, “আমি যে অন্যায় ভোগ করছি, তার জন্য তুমিই দায়ী। আমি আমার ক্রীতদাসীকে তোমার হাতে তুলে দিয়েছি, আর এখন সে যখন জানতে পেরেছে যে সে গর্ভবতী হয়েছে, সে আমাকেই অবজ্ঞা করছে। সদাপ্রভুই তোমার ও আমার মধ্যে বিচারক হোন।”
6 “তোমার ক্রীতদাসী তোমারই হাতে আছে,” অব্রাম বললেন, “তোমার যা ভালো মনে হয়, তুমি তার সাথে তাই করো।” তখন সারী হাগারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন; তাই সে তাঁর কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
7 মরুভূমিতে একটি জলের উৎসের কাছে সদাপ্রভুর দূত হাগারকে খুঁজে পেলেন; এটি সেই জলের উৎস, যা শূরের দিকে যাওয়ার পথের ধারে অবস্থিত। 8 আর দূত হাগারকে বললেন, “হে সারীর ক্রীতদাসী হাগার, তুমি কোথা থেকে এসেছ, ও কোথায় যাচ্ছ?”
“আমি আমার মালকিন সারীর কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছি,” সে উত্তর দিল।
9 তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তোমার মালকিনের কাছে ফিরে যাও ও তার বশ্যতাস্বীকার করো।” 10 সদাপ্রভুর দূত আরও বললেন, “আমি তোমার বংশধরদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি করব যে গোনার পক্ষে তারা বহুসংখ্যক হয়ে উঠবে।”
15 অতএব হাগার অব্রামের জন্য এক ছেলের জন্ম দিল, এবং সে যে ছেলের জন্ম দিল, অব্রাম তার নাম দিলেন ইশ্মায়েল। 16 হাগার যখন অব্রামের জন্য ইশ্মায়েলের জন্ম দিল, তখন অব্রামের বয়স ছিয়াশি বছর।