3 মোশি যখন লোকদের কাছে গিয়ে সদাপ্রভুর সব কথা ও বিধি তাদের বলে শোনালেন, তখন তারা একস্বরে উত্তর দিল, “সদাপ্রভু যা যা বলেছেন, আমরা সেসবকিছু করব।” 4 মোশি তখন সদাপ্রভু যা যা বলেছিলেন সেসবকিছু লিখে রাখলেন।
8 মোশি তখন সেই রক্ত নিলেন, লোকদের উপর তা ছিটিয়ে দিলেন এবং বললেন, “এ হল সেই নিয়মের রক্ত, যে নিয়মটি সদাপ্রভু এসব কথার আধারে তোমাদের সঙ্গে স্থির করেছেন।”
9 মোশি ও হারোণ, নাদব ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের সেই সত্তরজন প্রাচীন উপরে উঠে গেলেন 10 এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের দর্শন পেলেন। তাঁর পায়ের তলায় আকাশের মতো উজ্জ্বল নীল রংয়ের নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরি শান-বাঁধান মেঝের মতো কিছু একটা ছিল। 11 কিন্তু ঈশ্বর ইস্রায়েলীদের এইসব নেতার বিরুদ্ধে তাঁর হাত ওঠাননি; তাঁরা ঈশ্বরের দর্শন পেলেন, এবং তাঁরা ভোজনপান করলেন।
12 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “পর্বতে আমার কাছে উঠে এসো ও এখানে থাকো, এবং আমি তোমাকে সেই পাথরের ফলকগুলি দেব, যেগুলিতে আমি তাদের নির্দেশদানের উদ্দেশে বিধি ও আদেশগুলি লিখে রেখেছি।”
13 তখন মোশি তাঁর সহায়ক যিহোশূয়কে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন, এবং মোশি ঈশ্বরের পর্বতে উঠে গেলেন। 14 তিনি প্রাচীনদের বললেন, “যতক্ষণ না আমরা তোমাদের কাছে ফিরে আসছি, ততক্ষণ এখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করো। হারোণ ও হূর তোমাদের সঙ্গে আছেন, এবং যে কেউ কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, সে তাদের কাছে যেতে পারে।”
15 মোশি যখন পর্বতের উপরে চলে গেলেন, তখন তা মেঘে ঢেকে গেল, 16 এবং সদাপ্রভুর গৌরব সীনয় পর্বতের উপর বসতি স্থাপন করল। ছয় দিন পর্বত মেঘে ঢাকা পড়ে গেল, এবং সপ্তম দিনে সদাপ্রভু মেঘের মধ্যে থেকে মোশিকে ডাক দিলেন। 17 ইস্রায়েলীদের কাছে সদাপ্রভুর গৌরব পর্বতচূড়ায় অবস্থিত গ্রাসকারী এক আগুনের মতো দেখাচ্ছিল। 18 পরে মোশি পর্বতে চড়তে চড়তে সেই মেঘে প্রবেশ করলেন। আর সেই পর্বতের উপর তিনি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত থেকে গেলেন।
<- যাত্রা পুস্তক 23যাত্রা পুস্তক 25 ->