7 কিন্তু খ্রীষ্ট যেভাবে বণ্টন করেছেন, সেই অনুযায়ী আমরা প্রত্যেকে অনুগ্রহ-দান পেয়েছি। 8 সেজন্যই বলা হয়েছে:
14 তখন আমরা আর নাবালক থাকব না। যে কোনো মতবাদের হাওয়ায় বিচলিত হব না বা বাতাসে ভেসে যাব না। আমরা প্রভাবিত হব না যখন লোকেরা মিথ্যার সাহায্য নিয়ে, যা শুনে মনে হয় সত্য, আমাদের ঠকানোর চেষ্টা করবে। 15 এর পরিবর্তে আমরা প্রেমে সত্য প্রকাশ করব এবং সব বিষয়ে খ্রীষ্টের মতো হয়ে উঠব, যিনি তাঁর দেহের মস্তক; আর সেই দেহ হল মণ্ডলী। 16 তিনি সমগ্র দেহকে সুন্দরভাবে সন্নিবদ্ধ করেন। প্রতিটি অঙ্গ নিজের নিজের বিশেষ কাজ করে, যার ফলে অন্যান্য অংশ বৃদ্ধিলাভ করে। এই কারণে সমগ্র দেহ সুস্থ, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও প্রেমে পূর্ণতা লাভ করে।
20 খ্রীষ্টের সম্বন্ধে তোমরা অবশ্য সেরকম শিক্ষা লাভ করোনি। 21 নিঃসন্দেহে, তোমরা তাঁর বিষয়ে শুনেছ এবং যীশুর মধ্যে যে সত্য আছে, সেই অনুযায়ী শিক্ষা পেয়েছ। 22 তোমাদের অতীত জীবনধারা সম্বন্ধে তোমরা শিক্ষা পেয়েছ যে, তোমাদের পুরোনো সত্তাকে ত্যাগ করতে হবে, যা তার বহুবিধ ছলনাময় অভিলাষের দ্বারা কলুষিত হয়ে উঠেছে। 23 তোমাদের মানসিকতাকে নতুন করতে হবে; 24 প্রকৃত ধার্মিকতা এবং পবিত্রতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট নতুন সত্তাকে পরিধান করতে হবে।
25 অতএব, তোমাদের প্রত্যেকে মিথ্যাচার ত্যাগ করে প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্য কথা বলো, কারণ আমরা সকলে একই দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। 26 “ক্রোধের বশবর্তী হয়ে পাপ কোরো না।”[b] সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই তোমাদের ক্রোধ প্রশমিত হোক। 27 দিয়াবলকে প্রশ্রয় দিয়ো না। 28 যে চুরি করতে অভ্যস্ত, সে যেন আর চুরি না করে, বরং নিজের হাতে পরিশ্রমের দ্বারা সৎ উপায়ে উপার্জন করে; দুস্থদের সাহায্য করার মতো তার হাতে যেন কিছু উদ্বৃত্ত থাকে।
29 তোমরা কোনো অশালীন কথা বোলো না, প্রয়োজন অনুসারে যা অপরকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক, যা শ্রোতার পক্ষে কল্যাণকর, তোমাদের মুখ থেকে শুধু এমন কথাই বের হোক। 30 ঈশ্বরের পবিত্র আত্মাকে দুঃখার্ত কোরো না, তাঁরই দ্বারা তোমরা মুক্তিদিনের জন্য মোহরাঙ্কিত হয়েছ। 31 সব রকমের তিক্ততা, রোষ ও ক্রোধ, কলহ ও নিন্দা, সেই সঙ্গে সব ধরনের হিংসা ত্যাগ করো। 32 পরস্পরের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হও। ঈশ্বর যেমন খ্রীষ্টে তোমাদের ক্ষমা করেছেন, তেমনই তোমরাও পরস্পরকে ক্ষমা করো।
<- ইফিষীয় 3ইফিষীয় 5 ->