5 পরের দিন শাসকেরা, প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা জেরুশালেমে মিলিত হল। 6 মহাযাজক হানন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আর ছিলেন কায়াফা, যোহন, আলেকজান্ডার ও মহাযাজকের পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিরাও। 7 তাঁরা পিতর ও যোহনকে তাঁদের কাছে তলব করে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন, “কোন শক্তিতে বা কী নামে তোমরা এই কাজ করেছ?”
8 তখন পিতর, পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাঁদের বললেন, “শাসকেরা ও সমাজের প্রাচীনবর্গ! 9 একজন পঙ্গু মানুষের প্রতি করুণা দেখানোর জন্য যদি আজ আমাদের জবাবদিহি করতে বলা হচ্ছে এবং জিজ্ঞেস করা হচ্ছে যে, সে কীভাবে সুস্থ হল, 10 তাহলে আপনারা ও ইস্রায়েলের সব মানুষ একথা জেনে নিন: যাঁকে আপনারা ক্রুশার্পিত করেছিলেন, কিন্তু ঈশ্বর যাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত করেছেন, নাসরতের সেই যীশু খ্রীষ্টের নামে এই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। 11 তিনিই
13 তাঁরা যখন পিতর ও যোহনের সাহসিকতা দেখলেন ও উপলব্ধি করলেন যে তাঁরা ছিলেন অশিক্ষিত, সাধারণ মানুষ, তখন তাঁরা বিস্মিত হলেন। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে এঁরা যীশুর সঙ্গে ছিলেন। 14 কিন্তু যে ব্যক্তি সুস্থ করেছিল, তাকে তাঁদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তাঁদের বলার মতো আর কিছুই ছিল না। 15 সেই কারণে তাঁরা তাঁদের মহাসভা[b] থেকে বাইরে যেতে বললেন এবং তারপর একত্রে শলাপরামর্শ করতে লাগলেন। 16 তাঁরা বলাবলি করলেন, “এই লোকগুলিকে নিয়ে আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করব? জেরুশালেমে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই জানে যে, তাঁরা এক নজিরবিহীন অলৌকিক চিহ্নকাজ সম্পন্ন করেছে, আর আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না। 17 কিন্তু এই বিষয় লোকদের মধ্যে যেন আর ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমরা অবশ্যই তাঁদের সতর্ক করে দেব, যেন তাঁরা এই নামে আর কারও কাছে আর কোনো কথা না বলে।”
18 তাঁরা তখন আবার তাঁদের ভিতরে ডেকে পাঠালেন ও আদেশ দিলেন, যেন তাঁরা যীশুর নামে আদৌ আর কোনো কথা না বলে, বা শিক্ষা না দেয়। 19 কিন্তু পিতর ও যোহন উত্তর দিলেন, “আপনারা নিজেরাই বিচার করুন, ঈশ্বরের কথা শোনার চেয়ে আপনাদের কথা শোনা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ন্যায়সংগত কি না। 20 কারণ আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি, তা না বলে থাকতে পারছি না।”
21 পরে আরও অনেকভাবে ভয় দেখানোর পর তাঁরা তাঁদের যেতে দিলেন। তাঁরা ঠিক করতে পারলেন না, কীভাবে তাঁদের শাস্তি দেবেন, কারণ যা ঘটেছিল, সেই কারণে সব মানুষই ঈশ্বরের প্রশংসা-স্তব করছিল। 22 আর যে মানুষটি অলৌকিকভাবে সুস্থ হয়েছিল, তার বয়স ছিল চল্লিশ বছরের বেশি।
31 তাঁদের প্রার্থনা শেষ হলে, তাঁরা যে স্থানে মিলিত হয়েছিলেন, সেই স্থান কেঁপে উঠল। আর তাঁরা সকলেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন এবং সাহসের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য বলতে লাগলেন।
36 আর যোষেফ নামে সাইপ্রাসের একজন লেবীয়, যাঁকে প্রেরিতশিষ্যেরা বার্ণবা (নামটির অর্থ, উৎসাহের সন্তান) নামে ডাকতেন, 37 তাঁর মালিকানাধীন একটি জমি তিনি বিক্রি করে সেই অর্থ নিয়ে এলেন ও প্রেরিতশিষ্যদের চরণে তা রাখলেন।
<- প্রেরিত 3প্রেরিত 5 ->